Loading ...
  • শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ০৮:২৩ অপরাহ্ন
আবহাওয়া ব্যানার

কৃষ্ণচূড়ার লাল রঙে রঙিন কলাপাড়া, সেলফি তুলছেন কুয়াকাটা আগত পর্যটক সহ তরুণ তরুণীরা

নয়নাভিরাম গাইন নয়ন কলাপাড়া।। / ১৪৪
শনিবার, ৩ মে, ২০২৫

 

নয়নাভিরাম গাইন (নয়ন) কলাপাড়া পটুয়াখালী।।

কৃষ্ণচূড়ার লাল রঙে রঙিন পটুয়াখালীর কলাপাড়া। প্রকৃতিতে ছড়াচ্ছে মুগ্ধতা। আর তাতে আকৃষ্ট কুয়াকাটা আগত দেশি-বিদেশি পর্যটক সহ তরুণ তরুণীরা। তাই সেলফি তুলতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন নানা বয়সী মানুষ। প্রায় প্রত্যেকেই কৃষ্ণচূড়ার সাথে তোলা ছবি আপলোড করছেন সোসাল মিডিয়ায়। শুধু মাত্র সুন্দর মুহুর্তকে ধারন করে রাখতে কেউ কেউ দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন প্রিজনকে নিয়ে। কৃষ্ণচূড়ার রঙে জায়গাটি এমনভাবে রঙিন হয়েছে দেখতে ঠিক রং তুলিতে আকা শিল্পীর ছবির মত মনে হয়।

বলছিলাম বর্তমানে সেলফির হটস্পট খ্যাত কলাপাড়া আন্ধার মানিক নদীর ওপর নির্মীত সেতুর টোলপ্লাজা সংলগ্ন নীলগঞ্জের সলিমপুরের জিরোপয়েন্টের কথা। এখানে টোল প্লাজার উত্তর দক্ষিণে ঢাকা কুয়াকাটা মহাসড়কের দুইধারে কয়েকশো গজ জুড়ে ১০/১১ টি পরিণত বয়সের কৃষ্ণচূড়া গাছ রয়েছে। গাছগুলো বর্তমানে ফুলে ফুলে একেবারে আবৃত্ত। যার রক্তিম আভায় চোখ জুড়িয়ে যায় স্থানীয় সহ দেশি বিদেশি পর্যটকদের। তাই চলন্ত গাড়ি থামিয়ে ছবি তুলতে দেখাযায়, কিশোর-কিশোরী,তরুণ তরুণী সহ নানা বয়সী মানুষকে। জায়গাটি বর্তমানে এতাটাই সুন্দর লাগছে যেন নজর সরানোর উপায় নেই। তাই সুন্দর মহহুর্তকে ক্যামেরাবন্দি না করে থাকতে পারছেন না সেলফি প্রেমীরা।

স্থানীয় ব্যাবসায়ী ও ব্রিজের শুল্ক আদায়কারী নিখিল চন্দ্র বিশ্বাসের তথ্যমতে এ কৃষ্ণচূড়া গাছগুলি ২০১৬ সালে ব্রিজ নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ার পরে সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের পক্ষথেকে লাগানো হয়। এরপর স্থানীয়দের রক্ষণাবেক্ষণে গাছগুলো পরিনত বয়সে এসে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে। যাতে মুগ্ধ কুয়াকাটা আগত পর্যটক সহ স্থানীয়রা তাই এখানে কৃষ্ণচূড়ার পাশাপাশি আরো সৌন্দর্য বর্ধন গাছ লাগানোর দাবি স্থানীয় সহ আগত পর্যটকদের।

ঢাকা থেকে কুয়াকাটায় যাচ্ছিলেন পর্যটক নাজমুস সাকিব (অর্ণব) যাওয়ার পথে নাজমুস সাকিব বন্ধুদের নিয়ে গাড়ি থামিয়ে ছবি তুলছিলেন কৃষ্ণচূড়ার সাথে। ওই সময় তার সাথে নিত্যকন্ঠ নিউজ’র কথা হলে তিনি বলেন আমরা প্রকৃতি দেখতে বেরিয়েছি তাই ঢাকা থেকে এখানে এসে চোখ আটকে গেল কৃষ্ণচূড়ার সৌন্দর্যে। এই যায়গাটা অনেক সুন্দর লাগছে। আশেপাশে অনেক আরো জায়গা ফাঁকা রয়েছে সে জায়গাগুলোতেও যেন কৃষ্ণচূড়া অথবা অন্যান্য সৌন্দর্য বর্ধন গাছ লাগানো হয় তবে আরো মনোমুগ্ধকর হবে।

কৃষ্ণচূড়ার সাথে বাচ্চা এবং স্ত্রীকে নিয়ে ছবি তুলছিলেন নোয়াখালী থেকে কুয়াকাটায় আগত আরো এক পর্যটক আব্দুল জলিল। তার সাথে কথা হলে তিনি জানান,এমন গাছ যদি মহাসড়কের দুই পাশে লাগানো হয় তবে পর্যটকরা আরও বেশি আনন্দ পাবে।

ঢাকা থেকে আজ আগত আরো এক পর্যটক অন্তু বলেন,গতকাল রাতে এখান থেকে কুয়াকাটায়ে গিয়েছি তাই কৃষ্ণচূড়া রে সৌন্দর্য চোখে পড়েনি। আজ ফিরতে চোখে পড়তি গাড়ি না থামিয়ে আর পারলাম না তাই বন্ধুদের নিয়ে সেলফি তুলছি। এ ধরনের গাছ আরো লাগানো উচিত তবে পর্যটকরা বেশি আনন্দ উপভোগ করতে পারবে।

বর্তমানে যাগাটির জনপ্রিয়তা দেখে অনেকেই ব্যাক্তি উদ্যোগে এখানে আরও সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য নানা ধরনের গাছ লাগানোর পরিকল্পনা করছেন। সেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রবিউল ইসলামকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে। পাশা পাশি জায়গাটি আরও আকর্ষণীয় করতে জিরোপয়েন্ট সংলগ্ন জেলা পরিষদের মাধ্যমে নির্মিত ফোয়ারাটি সচল করারও দাবি করেছে।

স্থানীয় নওভাঙ্গা ফাজেল মাদ্রাসার প্রভাষক মোঃ ইভান মাতবর বলেন,কলাপাড়ার সুযোগ্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব রবিউল ইসলাম যদি আমাদেরকে সহযোগিতা করে তবে এখানে ব্রিজের দুইপাশে মহাসড়কের পাশে যে ফাঁকা জায়গা রয়েছে সে সকল জায়গায় স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পাশে দাঁড়াই, প্রিয়জন কল্যাণ পরিষদ এবং সিপিপির সদস্যদের নিয়ে কৃষ্ণচূড়ার পাশাপাশি জারুল ও অন্যান্য যে সকল সৌন্দর্য বর্ধন গাছ রয়েছে সেগুলো আমরা লাগাতে চাই এবং রক্ষণাবেক্ষণ করে এই জায়গাটিকে একটা জনপ্রিয় দর্শনীয় স্পটে পরিণত করতে চাই। এবং উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে এখানে যে ফোয়ারাটি নির্মাণ করা হয়েছে সেটি যেন সচল করা হয়।


এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ
tawhidit.top/