Loading ...
  • শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ০৯:০৪ অপরাহ্ন
আবহাওয়া ব্যানার

পত্নীতলায় দেড়শ বছরের ঐতিহ্যবাহী হুড় মেলা

নিউজ রুম / ১৭৯
সোমবার, ১২ মে, ২০২৫

 

মাসুদ রানা, পত্নীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ

নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার ঘোষনগর  ইউনিয়নের নোধূনী  গ্রামে ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ হুড়মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জনশ্রুতি আছে এখানে হুড় বলতে মেলায় অনেক মানুষের ভীড় হয় হুড়াহুড়া বা ঠেলাঠেলী হয় আবার একদিনের এ মেলা হুড় হুড় (তাড়াহুড়ো) করে এ মেলা শুরু ও শেষ হয় বলে একে হুড় বা হুড়ের মেলা বলে থাকেন। এ মালাকে মাদারের মেলাও বলে থাকেন  বৈশাখ মাস হয় তাই বৈশাখী মেলাও বলেন অনেকে।

দেড়শ বছেরের ধারাবাহিকতায় রবিবার(১১ মে) দিনব্যাপী এ মেলায় প্রায় দুই শতাধিক বিভিন্ন আগের দিন এসে দোকান পসরা সাজিয়ে বসেন চলে রাত পর্যন্ত।  দিনব্যাপী মেলায় প্রায় ৪০ লাখ টাকার বেচাকেনার হয় এ মেলায়।

গ্রাম থেকে একটু দুরে মাঠের মধ্যে মেলার যেখানে  মিস্টি পট্রী এলাকায় একটি ছোট বাগানের পাশে বটগাছের নিচে গাজী আলী পীর সাহেবের  মাজার আছে। মূলত এই মাজর কে কেন্দ্র করেই বসে এ মেলা।  প্রতি রবিবারে এ মাজারে মনের বিশ্বাসে মানত করেন নানান ধর্মের মানুষ। তবে উদ্যেশ্য যাই হোক কেন মনোবাসনা পূরনই যেন সকলের প্রত্যাশা। এ মাজারে ধর্মবর্ণ বিনিশেষে সকল শ্রেনীর মানুষরা মানত করে থাকেন। প্রতি বছরের বৈশাখ মাসের  শেষ রবিবারে  এ মেলা বসে।

মেলা কে কেন্দ্র করে
আশপাশের অন্তত ১০-১৫ টি গ্রামের মানুষের পদচারণায় মেলা প্রাঙ্গন এক মিলন মেলায় পরিনত হয়। বাড়ীতে বাড়ীতে আসেন জমাই মেয়ে সহ আত্মীয় স্বজনরা,

গ্রামীণ এ মেলায় বিভিন্ন পদের মিষ্টান্ন ও খাবারের দোকান, খেলনা সামগ্রি, কসমেটিক, মৌসুমি ফল,  এবং কৃষিযন্ত্রপাতিসহ আসবাবপত্রের দোকান আগেরদিন থেকে এসে  পসরা সাজিয়ে বসেন। এমনকি রুই, কাতলা ও পাঙ্গাস মাছ এবং গরু ও মহিষের মাংসও বিক্রি হয়। দিনব্যাপী এ মেলা হলেও কসমেটিক ও কাঠের আসবাবপত্রের দোকান থাকে আরো কয়েকদিন।

মীম আক্তার নামের এক কিশোরী বলেন মেলায় কসমেটিক ও খাবার কিনেছি খুব মজা লাগছে।

মেলা দেখতে আসা কবি ও গীতিকার আল আমিন বলেন আমি প্রতিবছর এ মেলা দেখতে আসি মেলাই কোন জাতপাতের ভেদাভেদ নেই সম্প্রীতির বন্ধন সজবুত হয়। অনেক মানুষের সাথে দেখা হয়। মনের ভাবের আদান প্রদান হয় ভাললাগে।  মেলায় মিষ্টি মিঠাই সহ সাংসারিক সকল সরঞ্জাম পাওয়া যায়।

মাজারের খাদেম  বলেন- বিভিন্ন ধর্মের মানুষরা মানত করে থাকে। তাদের আশা পুরন হলে পরে এ মাজারে এসে টাকা পয়সা বা সিন্নি দেয়, রান্না করে সবাইকে খাওয়ায়। দেশ স্বাধীনের পর থেকে বটগাছের নিচে এ মাজারে মেলা হয়ে আসছে।

৯নং ঘোষনগর ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার রুহুল আমিন বলেন, এখানে মূলত গাজী পীর সাহেবের মাজার উপলক্ষে প্রতিবছর বৈশাখ মাশের শেষ রবিবারে হয়ে আসছে এ মেলা। ধর্মবর্ণ বির্নিশেষে বিভিন্ন এলাকা থেকে সকল শ্রেনী পেশার মানুষ আসেন। তবে কবে থেকে এ মেলা শুরু হয়েছে  সঠিক বলা মুশকিল খুব ছোট বেলা থেকে বাবা দাদার হাত ধরে এ মেলায় এসেছি মুরব্বিদের কাছে শুনেছি প্রায় দেড়শ বছর আগে থেকে এ মেলা বসে। বিগত সরকারের সময়ে সাবেক এমপি সামসুজ্জোহা খান জোহার সহযোগিতায় কিছু উন্নয়ন হয়েছে   বর্তমানে এখানে আস্তানা পর্যন্ত রাস্তা এবং বাউন্ডারি ওয়াল প্রয়োজন আমরা তার কাছে অনুরোধ করবো তিনি যেন সহযোগিতা  করেন।

১২.৫.২৫


এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ
tawhidit.top/