Loading ...
  • শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৪০ পূর্বাহ্ন

আমতলীতে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী ও হয়রানীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

নিউজ রুম / ৯৭৮
বুধবার, ১৪ জুন, ২০২৩

মোঃ সাইদুর রহমান, আমতলী(বরগুনা)প্রতিনিধি: বরগুনার আমতলীতে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী ও হয়রানীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন খালেদা বেগম নামের এক নারী। বুধবার দুপুর ১২ টায় আমতলী ডাক বাংলোর হলরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে খালেদা বেগম বলেন, আমার বাবা আব্দুর রশিদ হাওলাদার ও আমার মাতা ফজিলাতুন্নেছা বেগম সাব কবলা দলিল নম্বর ১০৪ তারিখ ৩১/০১/৯৫ ইং, দলিল নম্বর ১৬৫৮ তারিখ ২৯.৩.১৯৫২ইং, দলিল নম্বর ১৪৭৬ তারিখ: ১৩.০৫.১৯৫৪ ইং, দলিল নম্বর ৩৭৫২, তারিখ: ১০.১২.১৯৫৬ ইং, দলিল নম্বর ৪১৫১ তারিখঃ ১০.০৪.১৯৫৪ ইং (এস,আর আমতলী), মোট- ০৫(পাঁচ) খানা দলিল মূলে মং ৩.৩৪ (তিন একর চৌত্রিশ শতাংশ) ভূমি ক্রয় করেন। আমার মামা আনোয়ার হোসেন তালুকদার, মনোয়ার হোসেন তালুকদার, বারেক তালুকদার, দেলোয়ার হোসেন তালুকদার, জাহাঙ্গির তালুকদারগণ ভূলক্রমে তাদের মাতা করফুল নেছা ও উরফুল নেছা এর নাম ১৯৭৭ সালের ৬ আগষ্ট ৪২৮৫ নং বন্টননামা দলিল করে। উক্ত বন্টননামা দলিলে আমার বাবা ও মায়ের কোন স্বাক্ষর নেই।
আমার মাতা মোসাঃ ফজিলাতুন্নেছা ৩১ নং জেল, এস,এ ১১৩৯ নং খতিয়ানের ২০৫০,২০৫১, ২০৯৪,২৩৪৩,২৩৪৪ ও ২৩৪৬ নং দাগের মালিক থাকিয়া ২০০৩ সালের ১০ মে আব্দুল হালিম মৃধা ও আমেনা বেগমের নিকট উক্ত খতিয়ানের ২৩৪৬ নং দাগের একুনে ৩৫ শতাংশ জমি সাব কবলা দলিল দেন (আমতলী সাব-রেজিষ্টার আফিসের দলিল নং ২৯৮৬)। উক্ত দলিলের পরিচিতি থাকে মামুন তালুকদার এবং স্বাক্ষী আনোয়ার হোসেন তালুকদার ও বারেক তালুকদার । যারা ৪২৮৫ নং বন্টননামা দলিলের ১ নং এবং ৩ নং দাতা ও গ্রহিতা। আমার বাবা ও মায়ের মৃত্যুর পরে ওই জমি আমরা পাঁচ বোন ও দুই ভাই ওয়ারিশ সূত্রে ভোগদখল করিতেছি।
উক্ত জমি আমাদের ভাই ও বোনদের নামে নতুন ২৩৫২নং খতিয়ান খোলা হয়। উক্ত নামজারী রেকর্ড মুলে ২০১৭ সালের ২০ জুন আমরা ওয়রিশগণ মোঃ বাদল আকন ও মোঃ আঃ রশিদ প্যাদার কাছে ২৩.৩১ শতাংশ জমি বিক্রয় করি। সেই দলিলে ১ নং স্বাক্ষি শাহ আলম তালুকদার। যিনি ৪২৮৫ নং দলিলের ২ নং দাতা ও গ্রহীতা মনোয়ার হোসেন তালুকদারের পুত্র। ১১৩৯ নং খতিয়ানের আদালতের নিষেধাজ্ঞা দেয়া ৯৬ শতাংশ জমি রেখে অবশিষ্ট জমি ২.৩৮ (দুই একর আটত্রিশ শতাংশ) জমিতে সার্ভেয়ার দিয়ে সীমানা পিলার স্থাপন করে আমরা ওয়রিশগণ ২০২১ সালের ১৮ নভেম্বর ও ২০২৩ সালের ৯ মে আমার মামাতো বোন জুলেখা বেগম মোঃ মতিয়ার রহমান মোঃ মোজাম্মেল হোসেন, মোঃ সফিউল আজম সোহেল গাজী ও মোঃ তোফাজ্জেল হোসেন তপুর নামে পাওয়ার অব এটর্নি দেই (যার নং ৬২৪৭/২০২১ ও ৩১১৪/২০২৩)। আমরা ওয়ারিশগণ ঢাকায় থাকার কারনে আমাদের সম্পত্তি রক্ষায় তাদের পাওয়ার অফ এটর্নি দেই।
কিন্তু দেওয়ানী মামলা নং ৬১/২০২০ মোকদ্দমায় বাদী তমাল তালুকদার আমাদেরকে হয়রানী করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা বানোয়াট মামলা দিয়েছে। গত ৩ জুন-২০২৩ আমি ও অন্যান্য ওয়ারিশগণসহ পাওয়ার গ্রহীতাগণের কাছে আব্দুল বারেক তালুকদারের পুত্র তমাল তালুকদার, পিয়াল তালুকদার, মৃণাল তালুকদার এবং জাহাঙ্গির হোসেন তালুকদারের পুত্র মঈন তালুকদার, নাজমুল আহসান ডিকেন তালুকদার ৫০.০০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করলে খালেদা বেগম ও অন্যান্য ওয়ারিশগণ এবং পাওয়ার অব এটর্নিগন অনুপায়ু হযে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা তাদের চাঁদা প্রদান করি । পরবর্তীতে ৪২লাখ ৫০ হাজার টাকা পুন:রায় চাঁদা দাবী করতেছে যাহা প্রদানে আমিসহ ওয়ারিশগন অস্বীকার করলে উল্লিখিত ব্যক্তিগণ বে-আইনী ভাবে আমাদেরকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী ও হুমকি প্রদান করে আসিতেছে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মঈন তালুকদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি তাদের বিরুদ্দে আনীত অভিযোগ অস্বিকার করেন।

এঘটনায় ভুমি দস্যু চাদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান খালেদা বেগম।

সংবাদ সম্মেলনে খালেদা বেগমের সাথে উপস্থিত ছিলেন, শফিউল আজম সোহেল গাজী, ফারজানা রহমান, তোফাজ্জেল হোসেন তপু, ও পান্নু মৃধা প্রমুখ।


এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ
tawhidit.top/