Loading ...
  • শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:২৫ পূর্বাহ্ন
আবহাওয়া ব্যানার

বাউফলে বিআইডব্লিউটিএর বিরুদ্ধে নদী খননের বালি ও মাটি বিক্রি করার অভিযোগ

নিউজ রুম / ২৭৬
মঙ্গলবার, ২৩ মে, ২০২৩

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :
পটুয়াখালীর বাউফলে বিআইডব্লিউটিএ’র বিরুদ্ধে আলগী নদী খননের বালি ও মাটি বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বাংলাদেশ অভ্যন্তরিন নৌপরিবহন ড্রেজিং বিভাগের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সুত্র জানা যায়, সম্প্রতি কালাইয়া বন্দরে নদী পথে নব্যতা হারায়। এতে খাদ্যগুদামে ধান, চাল ও গমভর্তি কার্গো ও ট্রলার আসতে বাধাগ্রস্থ হয়। এ বিষয়ে বাউফল উপজেলা খাদ্য অধিদপ্তর স্থানীয় সংসদ সদস্য আ.স.ম ফিরোজ এমপিকে অবহিত করলে তিনি জরুরী ভিত্তিতে খননের জন্য ড্রেজিং বিভাগকে ডিউলেটার দেন। পরে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে পটুয়াখালী বিআইডব্লিউটিএ ড্রেজিং বিভাগকে খননের জন্য বললে কালাইয়া খাদ্যগুদাম সংশ্লিষ্ট আলগী নদীতে খননের কাজ শুরু করেন।

বিধিমালা অনুযায়ী নদীর খননকৃত মাটি ও বালি স্থানান্তরের জন্য সরকারি কোন ভূমি বা নিদৃষ্ট স্থানে রাখার নির্দেশ রয়েছে। এছাড়া ব্যক্তি মালিকানাদিন পুকুর, ডোবানালা কিংবা ফসলের জমিতে মাটি ও বালি ভরাট করতে হলে সরকারকে নিদৃষ্ট অংকের টাকা জমা দিয়ে ড্রেজিং বিভাগকে অবহিত করতে হবে। কিন্তু ড্রেজিং বিভাগ নিয়মের তোয়াক্কা না করে স্থানীয় ব্যক্তিদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে জমি ও পুকুর ভরাট করছে।

স্থানীয় কারিকর নগর এলাকার জমির মালিক নেছার উদ্দিন জানান, তার জমি ভরাট করতে বেলাল নামের এক কেয়ার টেকারের মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ছিলো, পরে ২৭ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে।
একই এলাকার আব্দুল হকের স্ত্রী রাহিমা বেগম জানান, তার জমি ভরাটে ৫ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে কেয়ারটেকার বেল্লালকে।
ক্ষুধিরাম ব্যাপারী নামের এক ব্যক্তি জানান, আমার দুটি জমি খন্ড ভরাট করতে দেড় লাখ দিয়েছি কেয়ারটেকার ফয়সাল মুন্সিকে। এছাড়াও, আইনাল জোমাদ্দারের ২০ হাজার টাকা সহ অনেকের থেকেই জমি ভরাট করে টাকা নিয়েছে।

উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফয়সাল আহম্মেদ মনির মোল্লা জানান, ধান, চাল এবং গমের গোডাউন সংলগ্ন আলগী নদীর উত্তর পাশে নাব্যতা না থাকায় মালবাহী জাহাজ ভিড়াতে পারছেনা চালক। এতে জোয়ার ভাটা নির্ভর করে মাল খালাস করে। কিন্তু ড্রেজিং বিভাগ নদীর উত্তর পাশে ড্রেজিং করে মাটি ও বালি ওই এলাকার ফসলী জমি, নালা ও পুকুর ভরাট করছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌবন্দর, পটুয়াখালীতে লিখিত অভিযোগ দিবেন বলেও জানান তিনি।

বাউফল উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা কমল গোপাল জানান,কালাইয়া খাদ্য গোডাউনে সরকারি বরাদ্ধকৃত চাল,গম জাহাজে আসলে তা জোয়ার ভাটা নির্ভর করে মাল খালাস করতে হয় শ্রমিকদের। এতে সময় অপচয় এবং অর্থের অপচয় হয়।

বিআইডব্লিউটিএ ড্রেজিং বিভাগে কালাইয়া সাইড ম্যানেজার নাছির উদ্দিন অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমরা কিছু বলতে গেলে আমাদের মার খেতে হবে। ইঞ্জিনিয়র সোহেল সাহেব (সাইডে দায়ীত্বাবে থাকা) বালু, মাটি যেখালে ফেলতে বলে সেখানেই আমার বালি ফালাই। এটার দেখা শুনা সে করেন। আমাদের নিজেদের কোন ক্ষমতা নেই।

বিআইডব্লিউটিএ ড্রেজিং বিভাগ বরিশাল, উপসহকার প্রকৌশলী মোঃ সোহেল হোসেন জানান (কালাইয়া সাইড) নদীর তলদেশে ০৬ হাজার ফুট ড্রেজিং করতে হবে। অর্থের বিনিময় কোন বালি বা মাটি বিক্রি করা হচ্ছেনা। স্থানীয় লোকজন তাদের নিজের পুকুর,ডোবা,নালা ভরাট করতে বাঁধ দেয়ার জন্য টাকা খরচা করছেন। এর সাথে সে বা তার কোন লোক জড়িত নয়।
বিআইডব্লিউটিএ’র পটুয়াখালী নদী বন্দর দপ্তরের সহকারি পরিচালক মো.মামুন অর রশিদ বলেন,মাটি ও বালি বিক্রি করার কোন সুযোগ নেই। তবে কেউ মাটি বালি নিতে হলে নির্দিষ্ট একটা অর্থ জমা দিয়ে ড্রেজিং বিভাগকে দিবে,ড্রেজিং বিভাগ সে অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দিয়ে বালু ও মাটি ব্যক্তিকে দিতে পারবে বলে জানান।


এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ
tawhidit.top/