রাসেল মোল্লাঃ
১১৩পটুয়াখালী -৪ কলাপাড়া- রাঙ্গাবালী – মহিপুর ও কুয়াকাটা আসনের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব এবিএম মোশাররফ হোসেন ও কলাপাড়া উপজেলা বিএনপি’র সাবেক আহ্বায়ক আয়কর আইনজীবী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনির। শনিবার (১ নভেম্বর) বিকেলে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে উপজেলা পরিষদ মাঠে এক জনসভায় একই মঞ্চে দীর্ঘ দিন পর দুই নেতাকে দেখে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসাহ আমেজ লক্ষ্য করা গেছে। এই জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখছেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন তিনি তার বক্তব্য বলেন, আজকে আপনাদের সামনে অনেকেই ভোট চাইতে আসে। জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছিলো ৯১ এর নির্বাচনে ১৮টি এবং ২০০১ সালে ১৭টি-তাও বিএনপির সঙ্গে নির্বাচন করে। কিন্তু বিএনপির বাইরে গিয়ে ৯৬ সালে তিনটি, ২০০৮ সালে মাত্র দুইটি আসন পেয়েছে। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ১২টি জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে, কিন্তু কখনোই ইসলামি আন্দোলনের হাতপাখা মার্কা একটি আসনও জিততে পারেনি। তিনি আরও বলেন, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর বিএনপি নেতাকর্মীরা জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পাহারা দিয়েছে বিএনপি কর্মীরা। সাধারণ মানুষ যখনই বিপদে পড়েছে, আমরা তাদের পাশে থেকেছি, আগামী দিনেও থাকবো।
দুর্গম দ্বীপ উপজেলা হওয়া সত্ত্বেও রাঙ্গাবালীতে এখনও সরকারি হাসপাতাল না থাকা প্রসঙ্গে এবিএম মোশাররফ বলেন, এই আসনে আওয়ামী লীগের সময় দুইজন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন, কিন্তু কেউ হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু করতে পারেননি। তারা জনগণের নয়, নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের চেষ্টা করেছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে জনগণ কখনো সুষ্ঠু ভোট দিতে পারেনি-কখনো বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়, কখনো দিনের ভোট রাতে হয়েছে কিংবা কখনো নিজেরা নিজেরা। তাই আগামী দিনে দলীয় সরকারের অধীনে নয়, নির্বাচন হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে।
অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন কলাপাড়া উপজেলা বিএনপি’র সাবেক আহ্বায়ক আলহাজ্ব মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনির তিনি তার বক্তব্য বলেন, গত কয়েক দিন আগে আমাকে ও মোশাররফ ভাই ঢাকার গুলশান বিএনপি’র কার্যালয় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক জনাব তারেক রহমান ডেকেছিলেন কিসের জন্য ডেকেছিলেন আপনারা নিশ্চয়ই জানেন তখন মাননীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলের পক্ষে কাজ করতে বলেছেন এজন্য আমি এসেছি। আমি কলাপাড়া উপজেলা বিএনপি’র বর্ধিত সভায় ঐকের ডাক দিয়েছিলাম আজকের এই জনতার ঢল আমাদের ঐক্যের ফসল আজ থেকে আমরা দুই ভাই একসাথে দলের কাজ করবো খালেদা জিয়া মার্কা ধানের শীষ মার্কা জনাব তারেক রহমানের মার্কা ধানের শীষ মার্কা আমাদের মার্কা ধানের শীষ মার্কা। তিনি আরো বলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান একদিন সৎ মানুষ ছিলেন তার সততাকে বুকে ধারণ করে আমরা রাজনীতি কররো তা হলে ধানের শীষের বিজয় হবেই।
অন্যান্য মধ্যে বক্তব্য রাখেন কলাপাড়া উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি সাবেক মেয়র হাজী হুমায়ন সিকদার, সিনিয়র সহসভাপতি কামরুজ্জামান খোকন, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড হাফিজুর রহমান চুন্নু, পৌর বিএনপি’র সভাপতি গাজী মোঃ ফারুক সাধারণ সম্পাদক মুসা তাওহিদ নান্নু মুন্সী। উপজেলা বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের আয়োজিত এই জনসভায় সভাপতিত্ব করেন রাঙ্গাবালী উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আব্দুর রহমান ফরাজী এবং সঞ্চালনা করেন উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ হাওলাদার।
জনসভাকে ঘিরে ব্যানার-ফেস্টুনে সজ্জিত হয় পুরো উপজেলা সদর। উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের হাজার হাজার নেতাকর্মী এতে অংশ নেন।
tawhidit.top/