উপকূলীয় উপজেলা কলাপাড়ায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঝড় জলোচ্ছ্বাস যেন পিছু ছাড়ছেনা। তবে যথাসময়ে সঠিক বার্তা জনসাধারণের কাছে পৌঁছাতে পারলে প্রাণ ও সম্পদহানি অনেকটাই কমানো সম্ভব বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তাই প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় পূর্বাভাসভিত্তিক আগাম বার্তা প্রস্তুতকরণ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৭ জুলাই) উপজেলা পরিষদ কনফারেন্স রুম পায়রা’য় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা জাগোনারী এর আয়োজন করে। এতে অর্থায়ন করেছে জার্মান ফেডারেল ফরেন অফিস। কারিগরী সহযোগীতা করেছে রাইমস। সার্বিক সহযোগিতা করেছে সেভ দ্য চিলড্রেন ইন্টারন্যাশনাল।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন, জাগোনারীর প্রকল্প ব্যবস্থাপক কৃষিবিদ মো.মনিরুজ্জামান প্রিন্স। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেভ দ্য চিলড্রেন ইন্টারন্যাশনালের কর্মকর্তা সঞ্চিতা হালদার।
এছাড়াও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরাফাত হোসেন,সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা,উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শুভাশিস মজুমদার, প্রকল্প কর্মকর্তা মোকছেদুল আলম, মনিটরিং অফিসার মারিয়া আক্তার জিন্টু, সহকারী প্রকল্প কর্মকর্তা জাকিয়া আক্তার,জান্নাতুল ফেরদৌসী ও মো. রহমতউল্লাহ সহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধি,সাংবাদিক,সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও প্রান্তিক কৃষকরা অংশ নেন।
কর্মশালায় দুর্যোগকালীন ঝুঁকি বিশ্লেষণ, আবহাওয়ার পূর্বাভাস মূল্যায়ন, ঝুঁকিভিত্তিক বার্তা তৈরির কৌশল, প্রভাব পর্যালোচনা, আগাম পরিকল্পনা ও অর্থায়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়।
বক্তারা বলেন,উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রতিবছর বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়। তবে যথাসময়ে সঠিক বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছালে প্রাণহানি ও সম্পদহানি অনেকটাই কমানো সম্ভব।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা গ্রুপ ওয়ার্কের মাধ্যমে নিজেদের বিভাগের করণীয় নির্ধারণ করেন এবং তা উপস্থাপন করেন। আলোচনায় পূর্বাভাসভিত্তিক বার্তা কীভাবে দ্রুত কমিউনিটি পর্যায়ে পৌঁছানো যায় এবং প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কী প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি, তা চিহ্নিত করা হয়।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জাগোনারীর প্রকল্প কর্মকর্তা কিশোর কুমার দাস।
tawhidit.top/