বছর দশেক আগ থেকে কাঠের তৈরী সাধারন মাছ ধরার কিছু ট্রলার পরিনত হয়েছে ট্রলিং ট্রলারে। ট্রলিংট্রলার সাধারণ ট্রলারের মতো ছোট হলেও এটি এখন সমুদ্রে মাছ ধ্বংস কারী বিশাল দানবে রুপ নিয়েছে। এই ট্রলারে মাছ ধরার জন্য ব্যাবহার করাহয় ছোট ফাঁসের জাল। যাতে আটকে যায় রেনু থেকে শুরুকরে মা মাছ পর্যন্ত। ফলশ্রুতিতে সমুদ্রে ইলিশ সহ সকল মাছের আকাল দেখাদিয়েছে। যার প্রভাব পড়ছে জেলে ও মৎস্য সংস্লিষ্ট ব্যাবসায়ী এবং শ্রমিকদের ওপর। হাহাকার লেগেছে জেলে পরিবার গুলোতে। হুমকির মুখে সমুদ্র সম্পদ মৎস্যখাত। অচিরেই এ ট্রলিং জাহাজ বন্ধ না হলে বেকার হবে হাজার হাজার জেলে ও মৎস্য সংশ্লিষ্ট ব্যাবসায়ী এবং শ্রমিকরা। ক্ষতিগ্রস্ত হবে সমুদ্র অর্থনীতি। এমনটাই দাবি জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীদের। তাই বঙ্গোপসাগরে অবৈধ কাঠের ট্রলিং ট্রলার ও অবৈধ জাল বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানবন্ধন করেছে মৎস্য ব্যাবসায়ী ও জেলেরা।
রবিবার (২৭ জুলাই) বেলা এগারোটায় কলাপাড়া উপজেলার সমস্ত জেলেদের আয়োজনে কুয়াকাটা সৈকত সংলগ্ন চৌরাস্তায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধনে মৎস্য সংশ্লিষ্ট ৭ টি সংগঠনের প্রায় সহস্রাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন। এতে বক্তব্য রাখেন, আশার আলো মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি নিজাম শেখ,কুয়াকাটা জেলে সমিতির সভাপতি আবু হানিফ, কুয়াকাটা মাঝি সমিতির সভাপতি চান মিয়া সহ জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা।
বক্তারা বলেন,অন্তত বছর দশেক যাবত অবৈধ ট্রলিংট্রলারের আগ্রাসন চলছে। ট্রলার গুলোতে মাছধরার জন্য ব্যাবহার করছে ছোট ফাঁসের জাল। অবিচারে নিধন করছে সকল ধরনের মাছের রেনু।সেই সাথে ধ্বংস হচ্ছে জীব বৈচিত্র্য। ফলে কমছে ইলিশ সহ সব ধরনের মাছের উৎপাদন। কিন্তু এগুলো বন্ধে প্রশাষন নির্বিকার। দৃশমান কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেনা তারা। তাই আমাদের দাবি দ্রুত সময়ের মধ্যে ট্রলিং ট্রলার ও ছোট ফাঁসের জাল বন্ধ করা হোক। তা না হলে আরো কঠোর কর্মসূচি গ্রহনের করা হবে।
মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি কুয়াকাটার প্রধান সড়ক গুলো প্রদক্ষিন করে পর্যটন পার্কের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
tawhidit.top/