বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বিধ্বস্ত হয়েছে অসংখ্য বাড়িঘর,তলিয়ে গেছে মাছের ঘের,পুকুর,ভেঙে পড়েছে গাছপালা,পানি বন্দি হাজার হাজার মানুষ। ক্ষয়ক্ষতির নিরুপনে কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য ও কৃষি বিভাগ।
বঙ্গোপ সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ,ঝড়োহাওয়া ও অমাবস্যার জোএর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকা পটু্য়াখালীর কলাপাড়ায় ৪৬০ টি বসত ঘর সহ নানা স্থাপনা আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। ভারী বৃষ্টি ও জলোচ্ছ্বাসের কারনে পানি বন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার মানুষ। এছাড়া মৎস্য বিভাগের তথ্যানুযায়ী এখনও পর্যন্ত মাছের ঘের ও পুকুর তলিয়ে গেছে প্রায় দেড় হাজার।
ক’দিনের প্রাকৃতিক দুর্যোগে সবচেয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছেন মৌসুমি সবজি চাষিরা। তবে পুরো উপজেলায় কৃষকদের কি পরিমান ক্ষতি হয়েছে তা নিরুপন করতে পারেনি কৃষি বিভাগ।
চাকামইয়া ইউপি চেয়ারম্যান মজিবর রহমান ফকির জানান, তার ইউপিতে স্বাভাবিকের চেয়ে উচ্চ জোয়ারে নেওয়াপাড়া মাদরাসা সংলগ্ন বেরিবাঁধ গড়িয়ে ভিতরে পানি প্রবেশ করে। ফলে আনীপাড়া,চুঙ্গাপাশা,কাছেমখালী সহ কয়েটি গ্রামের প্রায় ৫ থেকে ৬শ পরিবার পানিবন্দী দশায় রয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মোকছেদুল আলম জানান, উপজেলার অনেক ইউপিতে বেরিবাধের বাহির পাশে উচ্চ জোয়ারের পানিতে তলিয়ে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এছাড়া আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪৬০টি বসতি ঘর ও বিভিন œ স্থাপনা। তবে সকল তথ্য এখনও হাতে এস পৌঁছায়নি বলে জানান এই কর্মকর্তা।
কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, নদী লাগোয়া এবং বেরিবাঁধের বাহির পাশে বসবাসরত মৎস্য চাষিদের অধিকাংশ ঘের পুকুর তলিয়ে গেছে। এ পর্যন্ত প্রায় দেড় হাজার ঘের পুকুরের তথ্য পাওয়া গেছে। তবে এর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে
tawhidit.top/