কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় প্রজেক্ট ভাসা প্রকল্প সমাপনী বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ, বাংলাদেশ (সিআইপিআরবি) এর আয়োজনে সোমবার সকাল ১০টায় কলাপাড়া উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বরিশাল বিভাগে পানিতে ডুবা প্রতিরোধে সমন্বিত কর্মসূচি বাস্তবায়ন বিষয় নিয়ে এ আলোচনা করা হয়। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রবিউল ইসলাম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিআইপিআরবি এর ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর ডা. আমিনুর রহমান। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পটুয়াখালী জেলা শিশু বিষয় কর্মকর্তা আব্দুর জব্বার, কলাপাড়া প্রেসক্লাবের আহবায়ক মো. হুমায়ুন কবির, কলাপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মাধ্যমিক একাডেমিক সুপারভাইজার মো. মনিরুজ্জামান, মহিলা বিষয় কর্মকর্তা তাসলিমা খানম।
‘সুইমসেফ – জীবনের জন্য সাঁতার’ কার্যক্রম: ৬-১০ বছর বয়সী শিশুদের পানিতে ডুবে মৃত্যু থেকে রক্ষায় সপ্তম টিকা
বাংলাদেশে এক বছরের বেশি বয়সী শিশু মৃত্যুর প্রধান কারণ পানিতে ডুবে যাওয়া। বিগত ১৯ বছরের গবেষণায় সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ, বাংলাদেশ ( সিআইপিআরবি ) পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু প্রতিরোধে যেকটি কার্যকরী সমাধান আবিষ্কার ও বাস্তবায়ন করেছে, তার মধ্যে ‘সুইমসেফ – জীবনের জন্য সাঁতার’ অন্যতম। এ কার্যক্রমের আওতায় ৬-১০ বছর বয়সী শিশুদের সাঁতার শেখার ২১ টি ধাপ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষে তারা পানিতে ডুবে যাওয়া থেকে নিজেকে রক্ষা করা ও তাদের উপস্থিতিতে কেউ পানিতে ডুবে গেলে ডাঙায় থেকে তাকে উদ্ধার করার কৌশল রপ্ত করা।
পানিতে ডুবে মৃত্যুর হিসাবে বরিশাল সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বিভাগ। এই বিভাগের দুই জেলা পটুয়াখালী ও বরগুনার তিন উপজেলা কলাপাড়া, বেতাগী ও তালতলীতে ২০১৬ সাল থেকে ‘ভাসা’ প্রকল্প পরিচালনা করে আসছে সিআইপিআরবি। আর্থিক সহযোগিতায় রয়েছে রয়্যাল ন্যাশনাল লাইফবোট ইনস্টিটিউট ( আরএনএলআই ) , ইউকে ও প্রিন্সেস শার্লি অফ মোনাকো ফাউন্ডেশন। প্রজেক্ট ভাসা – ২ এর সুইমসেফ কার্যক্রমের অধীনে ২০২৪ সালে ১০ হাজার শিশুকে স্থানীয় সাঁতার প্রশিক্ষকদের মাধ্যমে সাঁতার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। কলাপাড়া উপজেলার ৪৯৩০ জন শিশুকে এই প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে। উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের এবং ১টি পৌরসভার ৩২টি ওয়ার্ড থেকে ৩২টি স্থানীয় পুকুরকে সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসাবে তৈরি করা হয়েছিল। ৬৪জন স্থানীয় সাঁতার প্রশিক্ষক দক্ষতার সাথে বিভিন্ন ব্যাচে শিশুদের সাঁতার শিখিয়েছেন। শিশুদের পানিতে ডুবা প্রতিরোধে জনসচেতনতা ও সাঁতার শেখানোর প্রতি আগ্রহ বাড়াতে উত্তীর্ণ শিশুদের নিয়ে কেন্দ্র/পুকুরভিত্তিক সাঁতার প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে।