নয়নাভিরাম গাইন (নয়ন) কলাপাড়া পটুয়াখালী।।
পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌরশহরের ঐতিহ্যবাহী মদন মোহন শেবাশ্রমে শুরু হয়েছে ৫ দিন ব্যাপী শ্রী কৃষ্ণের রাসলীলা উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। শতবছর ধরে মদনমোহন সেবাশ্রম নাট মন্দীরে বৃন্দাবনের অবয়বে ১৭ জোড়া রাধা কৃষ্ণের যুগল প্রতিমা স্থাপন করে এ উৎসব পালন করাহয়। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) রাত সাড়ে নয়টায় অধিবাসের মধ্যদিয়ে যুগল দর্শণ ও ভক্তি প্রনামের মাধ্যমে এ রাসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এসময় শাঁক,উলুধ্বনি এবং নাম কির্তনে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো মন্দির প্রাঙ্গন। সনাতনী নিয়ম অনুসারে পাজাল প্রদীপ বরন কুলা মঙ্গল ঘট পুষ্পমাল্য সহযোগে কুলবধূরা মন্দীরের চতুর্পাশ প্রদক্ষিন করে শ্রী কৃষ্ণের রাস লীলা উৎসবের সূচনা করেন।
রাস মন্দীরের পুরোহিত পরেশ চন্দ্র মজুমদার বলেন,প্রায় পাঁচ হাজার বছর পূর্বে ভারতের বৃন্দাবনে শ্রী কৃষ্ণ গোপীদের নিয়ে ব্রজলীলার অনুকরণে রাস লীলা করেন। পরে বৈষ্ণবীয় ভাবধারায় ভারতের
উত্তর প্রদেশের মথুরা,বৃন্দাবন, পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া,ওড়িশ্যা,আসাম মণিপুরে ও বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় রাসলীলার এ ধর্মীয় উৎসব পালন শুরু করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। ভগবান কৃষ্ণের রসপূর্ণ অর্থাৎ তাত্তিক রসের সমৃদ্ধ কথাবস্তুকে রাসলীলার মাধ্যমে জীবাত্মার থেকে পরমাত্মায়,দৈনন্দিন জীবনের সুখানুভূতিকে আধ্যাত্মিকতায় এবং কামপ্রবৃত্তি সমূহকে প্রেমাত্মক প্রকৃতিতে রূপ প্রদান করে।
এ রাস উৎসবকে ঘিরে মদনমোহন মন্দির প্রাঙ্গনে মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এখানে ঘর গৃহস্থালি,সাজসজ্জ্যা,খেলনা, বস্ত্র সহ নানা পণ্যের পসরা নিয়ে ১২০ টি স্টল সাজিয়েছে দোকানীরা। দর্শনার্থী ও ক্রেতারা সকাল থেকে শুরু করে রাত ১০ টা পর্যন্ত কেনাকাটা করতে পারবেন। তবে নারী ও শিশুদের কেনাকাটার সুবিদার্থে সন্ধ্যা হতে রাত ন’টা পর্যন্ত পুরুষ প্রবেশে প্রশাসন ও রাস উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
রাস উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিকাশ দাস বলেন,আমরা আশাকরছি পাঁচ দিন ব্যাপী ভক্ত ও দর্শনার্থীরা নির্বিঘ্নে ঠাকুর দর্শন ও কেনাকটা করতে পারবেন। নিরাপত্তার জন্য আমাদের পুরোমন্দীর সিসি ক্যামেরাদ্বারা নিয়ন্ত্রিত থাকবে এছাড়াও নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। তাই ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সকলকে মেলায় আসার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
tawhidit.top/