• শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:০৪ পূর্বাহ্ন

নিউজ রুম / ৫৪
বুধবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৪

কুয়াকাটায় রাস উৎসবের শেষ মুহুর্তের সাজ সজ্জার কাজ চলছে।

মোঃ ফরিদ উদ্দীন (বিপু) কলাপাড়া প্রতিনিধি।।

সূর্য উদয় সূর্যাস্তের বেলাভূমি পর্যটন নগরী কুয়াকাটায় অনুষ্ঠিত হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহ্যবাহী রাস উৎসব। রাস পূর্ণিমায় সমুুদ্রে পুণ্যস্নান করবে পূন্নার্থীরা। আসছে শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকাল থেকে শুরু হয়ে মুল আনুষ্ঠানিকতা চলবে রাত ব্যাপী। কাকভোর থেকে শুরু হবে সমুদ্রে গঙ্গাস্নান। রাস লীলা ও পুণ্যস্নান কে ঘীরে কুয়াকাটা শ্রী শ্রী রাধা কৃষ্ণ মন্দির ও তীর্থযাত্রী সেবাশ্রম সহ পুরো সৈকত সেজেছে নতুন সাজে। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা রাসের মুল আনুষ্ঠানিকতা এখানেই পালন করবে। তাই চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি।
কারিগরদের রং তুলির নিপুন ছোয়ায় সাজিয়ে তোলা হচ্ছে ১৮ জোড়া রাধা কৃষ্ণের যুগল প্রতিমা। পঞ্জিকা মতে শুক্রবার (১৫ নভেম্বর ) ভোর ৫ টা ৪৩ মিনিট থেকে শুরু হবে পূর্ণিমা থাকবে শনিবার (১৬ নভেম্বর ) রাত ৩ টা ৩২ মিনিট পর্যন্ত।

তাই প্রতিবছরের ন্যায় এবারও পূর্ণিমার এ তিথিতে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে সনাতন ধর্মাবলম্বী নারী পুরুষ পাপ মোচন ও পূণ্য লাভের আশায় পূণ্যস্নান করবেন।

কুয়াকাটা রাসলীলা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার নিহার রঞ্জন মন্ডল জানিয়েছেন, এ বছরও পূর্ণিমা তিথিতে হাজারো তীর্থ যাত্রীদের পদভারে মুখরিত হবে সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর রাতভর চলবে নাম কীর্তন, ভাগবৎ পাঠ ও আরতি। শ্রীকৃষ্ণের লীলা কীর্তনে অংশগ্রহণ করবেন ভারতের কবিতা ঘোষ।

একই দিন সৈকতে অনেকেই পুরোহিতের দ্বারা মানত করা পূজা দিবেন। নানা ধর্ম-বর্ণের মানুষও মিলিত হবে রাস পূজা,ও সমুদ্র স্নানানুষ্ঠানে।

হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ জানান,দুদিনব্যাপী রাস মেলা উপলক্ষে কুয়াকাটায় আগত পর্যটকরা হোটেল মোটেল ও রিসোর্টে রাতযাপন করলে ৪০ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ ছাড় পাবে।

কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ জোনের এসপি আবুল কালাম আজাদ জানান,হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শত বছর ধরে চলে আসা রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নানে আগত পর্যটক ও পন্যার্থীদের জন্য নিরাপত্তা জোরদার করেছি। সর্বক্ষণিক টুরিস্ট পুলিশ নিরাপত্তার জন্য কাজ করবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম জানান,রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নান উপলক্ষে আমরা ধারণা করছি তিন লক্ষাধিক লোকের সমাগম হবে। কুয়াকাটায় পূণ্যস্নানে আগত পূণ্যার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলা, উপজেলা ও পৌর প্রশাসনের সমন্বয়ে একটি নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও সার্বক্ষণিক থানা পুলিশ,বাংলাদেশ সেনাবাহিনী,টুরিস্ট পুলিশ এবং গ্রাম পুলিশসহ প্রায় পাঁচ শতাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তার জন্য কাজ করবেন।


এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ
tawhidit.top/