কলাপাড়া প্রতিনিধি।।
পটুয়াখালীর কলাপড়ায় অবৈধভাবে সরকারী খালের মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করেছে একটি প্রভাবশালী মহল। ফলে খালের মধ্যে ভেঙ্গে পড়েছে যাতায়াতের প্রধান সড়ক। উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের পূর্ব রজপাড়া গ্রামের যাতায়াতের প্রধান সড়ক এটি। এই সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে রজপাড়া, টিয়াখালী বাজার, ধানখালী ও চম্পাপুরের হাজার মানুষ মানুষ। এই সড়কের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে পূর্ব রজপাড়া সরকারী খাল। গত বছর এই খালের মাটি অবৈধভাবে কেটে ইটভাটায় বিক্রি করে একটি প্রভাবশালী মহল। পরে সানী এবং ফেরদৌস নামের স্থানীয় দুই ব্যক্তি ওই খালের মধ্যে মাছ চাষ শুরু করেন। গত শনিবার মধ্যরাতে মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে পানি সেচ শুরু করেন। পানি সেচ দেওয়ার সময় স্থানীয়রা বাঁধা দিলেও তারা তোয়াক্কা না করে সেচ কার্যক্রম চালিয়ে যান। পরে ওই রাতেই প্রায় তিনশ’ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১২ ফুট প্রস্থের অংশ নিয়ে এলইজিইডির নির্মিত সড়ক খালের মধ্যে ভেঙে পড়ে। বর্তমানে বিশাল স্থান জুড়ে ফাটল ধরায় ঝুকিতে রয়েছে পুরো সড়ক। ফলে ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে ওই খালের দুই পাড়ের বাসীন্দারা।
স্হানীয় বাসিন্দা মো: বশির আক বলেন, এইখালে মাছ চাষের জন্য মাটি কেটেছে সানি মিরা। শনিবার রাতে ফেরদৌস মাছ ধরার জন্য পানিঁ সেচ শুরু করে করে। হঠাৎ রাত তিনটার দিকে বিকট শব্দ পাই এখানে এসে দেখি রাস্তাসহ বিশাল এলাকা নিয়ে খালের মধ্যে ভেঙ্গে পরে গেছে। আরো অনেকক্ষণি নিয়ে ফাটল ধরছে। তাও যেকোন সময় ভেঙ্গে পড়তে পারে। পানি সেচ বন্ধ করতে বললে তারা আমাদের কথা শুনেনি।
মুঠোফোনে তার সাথে যোগাযোগ করলে ফেরদৌস বলেন, আমি বর্তমানে ঢাকায় আছি,আমি সানীর কাছে টাকা পাবো। তাই আমার লোকজন দিয়ে ঐখালের মাছ ধরিয়েছি। তবে এর কারনে রাস্তা ভাংছে কিনা তা আমি জানিনা।
সানীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি ফেরদৌসকে বলেছি টাকা আমি দেবো। খালের পানি শেষ করে মাছ ধরার দরকার নাই। তাহলে রাস্তা ক্ষতি হতে পারে। তারপরও ও আমার কথা না শুনে পানি সেচ করে মাছ ধরছে।
উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাদেকুর রহমান বলেন, মাটি কাটার ফলে রাস্তা ভেঙ্গে পড়েছে বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। আমি সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবো। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রাস্তাটির সংস্কার করে জনগণের চলাচলে উপযোগী করে তোলা যায়।
tawhidit.top/