কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।।
পর্যটন নগরী কুয়াকাটায় ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলণ করে বিক্রি করায় পৌর শহর এখন দিঘির শহরে পরিনত হচ্ছে। ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলণ নিষিদ্ধ থাকলেও কুয়াকাটা পৌর এলাকার চিত্র ভিন্ন। স্থানীয়দের দাবী বালু উত্তোলনের কারণে এ এলাকায় ৫০ টির বেশি বড় বড় পুকুর এবং দিঘি তৈরী হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে পাশর্^বর্তী কৃষি ও সমতল জমির মাটি ভেঙ্গে পরছে। যা পর্যটন বির্নিমাণে বড় হুমকী হয়ে দাড়াতে পারে। জমি বিক্রির চেয়ে বালু উত্তোলণ করে বিক্রি করায় লাভবান হচ্ছে জমির মালিকরা। তাই জমি থেকে বালু বিক্রির হিরিক পরেছে এমন দাবী এলাকাবাসীর।
স্থানীয় বাসিন্দা ও সাবেক ইউপি সদস্য মো. জাহাঙ্গীর হাওলাদার বলেন, কুয়াকাটার মুসুল্লীয়াবাদ থেকে মহিবুল্লাহ নামক এক ব্যক্তি বিরোধীয় জমি থেকে গত ১ বছর ধরে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলণ করে বিক্রি করে আসছে। আর এ বালু উত্তোলণে বিশালাকৃতির দিঘি তৈরী হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে মহিবুল্লাহ দুইটি ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলণ করে কুয়াকাটা বেরীবাধঁ সড়ক নির্মাণে ব্যবহার করছে। এতে তাদের পার্শবর্তী জমি ভেঙ্গে পড়ছে। এতে বাধা দিলে মহিবুল্লাহ তাদের মামলা সহ প্রশাসনিক ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে।
স্থানীয় আরেক বাসিন্দা জালাল আহম্মেদ জানান, সড়কের পাশ ঘেষে বালু কেটে দিঘি তৈরী করা হয়েছে। এতে সড়ক ভেঙ্গে পড়ছে। এর প্রতিবাদ করলে মহিবুল্লাহ তাকে জানান, এই বালু উত্তোলনের সাথে উপজেলা প্রশাসন জড়িত রয়েছে। এলজিইডির সড়ক নির্মাণ কাজে এ বালু ব্যবহার করা হচ্ছে। বাধা দিতে আসলে তাকে দেখে নেওয়ার হুমকী দেয়া হয়।
বালু বিক্রেতা মহিবুল্লাহর কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় ভ‚মি প্রশাসন বালু উত্তোলনের বিষয়ে জানে। তাদের সম্মতিতেই এই বালু উত্তোলণ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রবিউল ইসলাম বলেন, তাদের বিরুদ্ধে বালু খেকো একটি মহল মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। তার দাবী উপজেলা সহকারী ভূমি কর্মকর্তা কৌশিক আহম্মেদকে পাঠিয়ে বালু উত্তোলণ করতে নিষেধ করা হয়েছে। তবে বালু উত্তোলনের সাথে জরিত মহিবুল্লাহ পালিয়ে যাওয়ায় তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া যায়নি। শীঘ্রই আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের কথা জানিয়েছেন তিনি।
tawhidit.top/