কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।।
তালাক প্রাপ্ত স্ত্রী’র গ্যারাকলে অসহায় হয়ে পরেছেন অবসর প্রাপ্ত ব্যাংকার জসিম উদ্দিন। দুই পক্ষের সমজোতায় তালাক হলেও যৌতুকের অভিযোগে আদলাতে মামলা করেছেন সেই স্ত্রী সালমা বেগম। এমন ঘটনায় দিশেহারা হয়ে পরেছেন ভূক্তভোগীর পরিবার। আদালতে হাজিরা দিতে এসেও হয়রানীর শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন অবসরপ্রাপ্ত ওই ব্যাংকার। সালমা পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের ফুলবুনিয়া গ্রামের ইউনুসের মেয়ে। অপরদিকে, অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংকার জসিম উদ্দিন পটুয়াখালী সদর থানাধীন গোরস্থান রোড এলাকার বাসিন্দা বলে জানা যায়।
ভূক্তভোগী জসিম উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, গত জানুয়ারীতে তার স্ত্রী মারা গেলে পরিবারের সিদ্ধান্তনুযায়ী ঘটকের মাধ্যমে সালমা বেগমকে বিবাহ করেন তিনি। কিন্তু বিবাহের পূর্ব থেকেই সালমা ভাড়া করা লোক দিয়ে ভূয়া বাবা ও খালু সাজিয়ে ছলনার আশ্রয় নেয়। বিবাহের পর থেকে সে অসংলগ্ন আচরন শুরু করে। রাতের আধারে স্বামীর গায়ে হাত তোলাসহ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। শুধু তাই নয়, সালমা এর আগেও একাধিক বিবাহ করেন। বিত্তবানদের তার ছলনায় আবদ্ধ করে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়াই তার মূল উদ্দেশ্য। বিভিন্ন কারনে সাংসারিক বনিবনা না হওয়ায় স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে উভয়ের সমজোতায় কাবিনের এক লক্ষ টাকা ও ভরন পোষন বাবদ মোট তিন লক্ষ টাকা নগদ পরিশোধ করে সালমা বেগমকে তালাক দেন তিনি। কিন্তু তাতেও খ্যান্ত হননি সালমা। সে ওই দিনই কলাপাড়া উপজেলা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যৌতুকের দাবীতে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি নিয়ে সাবেক এ ব্যাংকার পারিবারিক ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছেন। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক বিচারের দাবী জানান তিনি।
এদিকে, সালমা বেগম বলেন, বিয়ের কয়েকদিন পরে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে তালাকের নোটিশ পাঠান তার স্বামী। বিষয়টি নিয়ে পটুয়াখালীতে স্বামীর বাড়ি গেলে ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক চেয়ে জোর পূর্বক কয়েকটি সাদা কাগজে তার স্বাক্ষর নেন। পরে সঠিক বিচারের দাবীতে স্বামী জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন তিনি। তবে, একাধিক বিবাহের বিষয়টি অকপটে স্বীকার করেন তিনি। সাংসারিক বনিবনা হয়নি বলে আগের স্বামীকেও তালাক দিয়েছেন বলে জানান।
তবে, মামলার ২ নং স্বাক্ষী সালমা বেগমের আপন বোন মুক্তা মনি জানান, সমজোতার মাধ্যমে তাদের তালাক হয়েছে। তার বোনকে তিন লক্ষ টাকা বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। সেখানে তার বাবা ও মা উপস্থিত ছিলেন। তবে, তার বোন সালমা বেগমের মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
পটুয়াখালী থানাপাড়া কাজী অফিসের সহকারী কাজী খলিলুর রহমান বলেন, তাদের উভয়ের সমজোতায় তালাক কার্যকর করা হয়। কাবিনের পাওনা টাকাসহ সমস্ত দেনা-পাওনা বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
tawhidit.top/