কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি।।
গভীর বঙ্গোপসাগরে ইলিশের আকাল, ফলে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে না কাঙ্খিত ইলিশ। বেচা-বিক্রি নেই কুয়াকাটা, আলীপুর, মহিপুর মৎস্য আড়তে। সমুদ্র থেকে দুএকটি ট্রলার অল্প কিছু মাছ নিয়ে তীরে ফিরলেও বেশিরভাগ ট্রলার আসছে শূন্য হাতে। এ অবস্থায় উপকূলের জেলে পল্লী ও পরিবারে চলছে হাহাকার।
শনিবার দুপুরের দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঋণের বোঝায় দিশেহারা কুয়াকাটাসহ উপকূলীয় এলাকার প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার জেলে পরিবার। মৎস্য আড়তগুলোতে আগের মতো কর্মব্যস্থতা নেই। আড়তের জেলে শ্রমিকরা বেকার দিন পার করছে। যুবক শ্রেণির শ্রমকরা আড়তে ভিড় করে টেলিভিশনে বিভিন্ন অনুষ্ঠান দেখছে। পাইকারি ব্যবসায়ীরা চায়ের দোকানে বসে গল্প-আড্ডায় সময় পার করছে। কিছু জেলে পুরানো জাল সংস্কার করছে। এক কথায় কর্মব্যস্ত মাছ বাজারের মানুষগুলো কর্মহীন অবস্থায় সময় পার করছে।
জেলে রহিম হাওলদার বলেন, এনজিও থেকে বৌ লোন নিয়েছিলো, এদিকে সাগরে পড়েনা মাছ কি করে যে কিস্তির টাকা দিমু, হেই চিন্তায় পাগল।
ট্রলার মালিক মনির হাওলাদার জানায়, এক একবার ট্রলারে বাজার দিয়ে সাগরে পাঠাই দেড়-দুই লক্ষ টাকার বাজার দিয়ে, মাছ পায় ১৫/২০ হাজার টাকার তা দিয়ে জেলদের দিব, না দোকানের বকেয়া দিবো, না নুতুন করে আবার বাজার দিয়ে সাগরে পাঠাবো। আমরা এখন হতাশার মধ্যে আছি।
মহিপুর আল্লাহ ভরসা আড়ৎ মালিক মো. লুনা আকন বলেন, আমারা ট্রলার মালিকদের বাজার দিছি তা শেষ, কিন্তু কোন মাছই নেই। অনেক আড়ৎদার, ট্রলার মালিক পথে বসে গেছে। এখন আমরা আল্লাহর দিকে তাকিয়ে আছি।
মহিপুর মৎস্য আড়ৎ মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি মো. দিদার উদ্দিন আহম্মেদ মাসুম বলেন, এভাবে আর কিছু দিন মাছ না পড়লে আমাদের সকল আড়তে তালা মারতে হবে। এখন আল্লাহই একমাত্র ভরসা।
tawhidit.top/