• শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৩৬ পূর্বাহ্ন

আমতলীতে প্রচন্ড তাপদাহে তালের শাঁসের কদর বেড়েছে

নিউজ রুম / ১৫
রবিবার, ৫ মে, ২০২৪

 

মোঃ সাইদুর রহমান, আমতলী (বরগুনা)সংবাদদাতা।।

বরগুনার আমতলীতে প্রচন্ড তাপদহে তালের শাঁসের কদর বেড়েছে। মানুষ শরীরে পুষ্টির চাহিদা মেটাতে তালের শাঁস কিনে খাচ্ছেন। দাম কিছুটা বেশী হলেও সে দিকে তাকাচ্ছেন না ক্লান্ত ও পরিশ্রমী মানুষগুলো। শহরের বেশীর ভাগ শ্রমজীবি মানুষের কাছে তালের শাঁসের কদর বেশী।

জানাগেছে, গ্রামাঞ্চলে পানি তাল হিসেবে পরিচিত।তালের ফলের ঘণ নির্যাস থেকে তাল ফুলুরি তৈরি হয়। তালের বীজও খাওয়া হয় লেপা বা তালশাঁস নামে। তালে রয়েছে প্রচন্ড ভিটামিন এ,বি ও সি, জিংক পটাশিয়াল, আয়রন ও ক্যালসিয়ামসহ অনেক খনিজ উপাদান। এর সাথে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান রয়েছে বলে জানা পুষ্টিবিদ ডাঃ মাসুম বিল্লাহ। প্রচন্ড তাপদাহে ক্লান্ত মানুষ তালের শাঁসের প্রতি ঝুঁকে পড়েছেন। শরীরের ক্লান্তি দুর করতে মানুষ তালের শাঁস খাচ্ছেন।

তবে এবছর প্রচন্ড তাপদাহে তালের শাঁসের কদর গত কয়েক বছরের তুলনায় বেশী। তালের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার ব্যবসায়ীরা গ্রামগঞ্জ থেকে তাল সংগ্রহ করে সড়কের পাশে ও অলিগলিতে বিক্রি করছে। মানুষ অহরহ ফরমালিন মুক্ত এ ফল খেয়ে খাচ্ছেন। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এ ফলে ৯২ দশমিক ৩ শতাংশ জলীয় অংশ, ক্যালরী ২৯, শর্করা ৬ দশমিক ৫ গ্রামম, ক্যালমিয়ান ৪৩ মিলিগ্রাম, খনিজ শুন্য দশমিক ৫ মিলিগ্রাম ও ৪ মিলিগ্রাম রয়েছে বলে জানান পুষ্টিবিদ মো. মাসুম বিল্লাহ তালের চাহিদা থাকায় বিচি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। বড় তাল প্রতি বিচি শাঁস ৫ টাকা করে তিন বিচি তালের শাঁস বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা। ক্রেতারা মুল্যের দিকে না তাকিয়ে স্বাছন্দে কিনে নিচ্ছেন।

রবিবার আমতলী পৌর শহরের একে স্কুল বাঁধ, চৌরাস্তা, হাসপাতাল প্রাঙ্গণ, লঞ্চঘাট ও আমতলী-পটুয়াখালী মহাসড়কের বিভিন্ন স্থান ঘুরে তালের শাস বিক্রি করতে দেখাগেছে। প্রতি বিচি শাঁস ৫ টাকা দরে মানুষ কিনে নিচ্ছে।

চাওড়া ইউনিয়নের বেতমোড় এলাকার তাল ব্যবসায়ী সাইদুর রহমান বলেন, গ্রাম থেকে গাছ মুলে তাল ক্রয় করে ভ্যানে গ্রামগঞ্জে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করি। প্রতি পিস তাল কিনতে হয় প্রকারভেদে থেকে ৮ টাকা। বিক্রি করি ১০ থেকে ১৫ টাকা। তিনি আরো বলেন, গত কয়েক দিন ধরে বিক্রি করছি।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সাবেক কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল মোনায়েম সাদ বলেন, তালের শাঁসের অনেক উপকারীতা রয়েছে। এতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ আছে। তালের শাঁস একটি আশযুক্ত খাবার। এ শাঁস খেলে ক্লোণ ক্যান্সারের সম্ভাবনা কম থাকে। তিনি আরো বলেন, পরিস্কার পরিছন্নভাবে না খেলে আবার ডায়েরিয়ারও ঝুঁকি থাকে।


এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ
tawhidit.top/