Loading ...
  • রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:৩০ অপরাহ্ন
আবহাওয়া ব্যানার

একটি সেতুর অভাবে দুই জেলার মানুষের দুর্ভোগ

নিউজ রুম / ১৫১
রবিবার, ২৮ মে, ২০২৩

সঞ্জিব দাস ,গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর গলাচিপা ও বরগুনা জেলার আমতলী জেলার মেলবন্ধনের গাজীপুর খালে একটি সেতু ৫০ বছর পরও নির্মাণ করা হয়নি এতে পটুয়াখালীর বাউফল, দশমিনা, গলাচিপা, কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী উপজেলা এবং বরগুনার আমতলী, তালতলী, বরগুনা সদর, পায়রা সমুদ্রবন্দর ও কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতের সঙ্গে সহজ যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। এলাকাবাসী মনে করে- এখানে সেতু নির্মাণ হলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে দুই জেলার মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে, প্রসার ঘটবে ব্যবসা-বাণিজ্যের।
এলাকার প্রবীণ ব্যক্তিরা জানান, গাজীপুর খালটি এক সময় বিশাল নদী ছিল। এ নদী দিয়ে স্টিমার, লঞ্চ ও বড় বড় নৌকা চলাচল করত। কালের পরিক্রমায় এখন ছোট খালে পরিণত হয়েছে নদী। তা প্রস্থে ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ ফুটে এসে দাঁড়িয়েছে। খালের একপাড়ে গলাচিপা উপজেলার জুলেখা বাজার, অন্যপাড়ে বরগুনার আমতলী উপজেলার বিখ্যাত বন্দর গাজীপুর বাজার। এ বাজার এক সময় গরু-মহিষ বিক্রির জন্য বিখ্যাত ছিল। এ ছাড়া ধান, ডালসহ অন্যান্য রবিশস্যের বেশ বড় পাইকারি মোকাম ছিল। কলাপাড়া উপজেলার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক আবুল কালাম জানান, সেতুটি নির্মাণ না হওয়ায় নানা বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। খাল পারাপারে অতিরিক্ত অর্থ আদায় ও সময়ক্ষেপণ যাত্রীদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর প্রতিবাদ করতে গেলে ইজারাদের পেটোয়া বাহিনীর হাতে লাঞ্ছিত হতে হয় সাধারণ যাত্রীদের। গলাচিপা সদর ইউনিয়নের মো. মনির গাজী জানান, গরু-মহিষের ব্যবসা করতে প্রায়ই বরগুনা জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও কলাপাড়া উপজেলায় যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু গাজীপুর খালটিতে সেতু না থাকায় পোহাতে হয় ভোগান্তি। একই কথা বলেন গলাচিপা সদর ইউনিয়নের আ. মন্নান মিয়া। তাকে প্রায়ই এ পথ দিয়ে আত্মীয়স্বজনের বাড়ি যেতে হয়। ইজারাদারের খামখেয়ালিতে অনেক সময় খাল পারাপার হতে ঘণ্টাও পার হয়ে যায়- যেখানে পার হতে সময় লাগে মাত্র ৩০ সেকেন্ড। দুই জেলার সীমান্তে এ খালটির অবস্থান হওয়ায় ঘাট ইজারাদার আইনের কোনো তোয়াক্কাই করছেন না। তারা পারাপারে জনপিছু ১০ টাকা আদায় করছেন। দুই জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কোনো খবরদারি নেই। পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৗশলী এ এম আতিকুল্লাহ জানান, বুয়েটের হাইড্রোলজিক্যাল ও মফোলজিক্যাল সার্ভের নকশা অনুযায়ী এ খালে সেতু নির্মাণে দৈর্ঘ্য দেখানো হয়েছে ২ কিলোমিটার। দুই কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে সেতু নির্মাণ সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতাবহির্ভূত। সেতু বিভাগ এটি নির্মাণ করলে করতে পারে।
গোলখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন বলেন, গাজীপুর খালে সেতু নির্মাণ একান্ত আবশ্যক। সেতুটি নির্মাণ হলে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের যাতায়াত বিড়ম্বনা লাঘব হতো।


এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ
tawhidit.top/